মা-বাবার ঝগড়ার বলি দুই বছরের তানহা
নরসিংদীতে পারিবারিক কলহের জেরে সাদিয়া ইসলাম তানহা (২) নামের ফুটফুটে এক কন্যাশিশুকে গলা টিপে হত্যা করেছেন তার গর্ভধারিণী মা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনামুল হক সাগর (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
নিহত শিশু সাদিয়া ইসলাম তানহা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মো. সোহাগ মিয়া ও কোহিনূর বেগমের সন্তান। অভিযুক্ত কোহিনূর বেগম নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা এলাকার আবদুর রউফ মিয়ার মেয়ে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারের পর অকপটে দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন শিশুটির মা কোহিনূর বেগম (২৪)। আজ বিকেলে আদালতে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, পৌর শহরের বানিয়াছলের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন মো. সোহাগ মিয়া ও কোহিনূর দম্পতি। গত ১৩ মে সন্ধ্যায় ঈদের আগের দিন কেনাকাটাকে কেন্দ্র করে সোহাগ মিয়া ও তাঁর স্ত্রী কহিনূর বেগমের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর এক পর্যায়ে কোহিনুর বেগম তাঁর মেয়ে তানহার গলা চেপে ধরেন। এতে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় শিশুটি। পরে মরদেহ বাবার বাড়ি রায়পুরার দড়ি হাইরমারা এলাকায় রেখে পালিয়ে যান কোহিনুর। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ১৭ মে শিশুটির বাবা মো. সোহাগ বাদী হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ শিশু তানহার মা কোহিনুরকে গ্রেপ্তার করে। সর্বশেষ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন কোহিনুর। এরপর দ্রুত মামলা তদন্ত শেষ করে পুলিশ আজ বিকেলে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে।
নরসিংদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ‘রাগের বশবর্তী হয়ে কহিনুর বেগম তাঁর শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। তা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে মামলার তদন্ত ও ময়নাতদন্ত রিপোর্টসহ সব কাজ সম্পন্ন করে আদালতে অভিযোগপত্রর দাখিল করা হয়েছে।