মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীরাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে যাবে : আমু
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীরাই ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
আমু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ২১ বছর বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মিথ্যা ইতিহাসও বানানো হয়েছে। যারা ভ্রান্ত রাজনীতি করেন, ঘরে মুক্তিযোদ্ধার সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, গণহত্যাকারী অপশক্তির সঙ্গে সরকার গঠন করে, তারা কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হতে পারে না।’
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝালকাঠির শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঐতিহাসিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা আমু বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রপ্রধানরা শুভেচ্ছা বাণী পাঠিয়েছেন। এই স্বীকৃত বিষয়টিকে এখনও যারা মিথ্যা করে বেড়াচ্ছেন, তারাও ইতিহাসে একদিন আস্তাকুঁড়ে যাবেন।’
ছাত্রলীগ ও যুবলীগের উদ্দেশ্যে সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মাদক সেবনকারীরা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কোনো পদ পাবে না। দলীয় পদে যারা আসবে তাদের সম্পর্কে আগে থেকেই তদন্ত করে দেখা হবে, কেউ মাদকের সঙ্গে জড়িত কিনা। এরপরেই পদ দেওয়া হবে।’
ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, পৌর মেয়র মো. লিয়াকত আলী তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক তরুণ কর্মকার, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ও আমির হোসেন আমুর মেয়ে ব্যারিস্টার সুমাইয়া হোসেন অদিতি।