মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের বাধা
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ কঠোর অবস্থান নেওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল সামনে এগোতে পারেনি। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা।
গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর কলেজ রোড এলাকায় আজ মঙ্গলবার সকালে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সপ্তাহব্যাপী বিভিন্ন ইউনিয়নে তারা যে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি দিয়েছিলেন আজই তার শেষ দিন। সে উপলক্ষে বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মী বিক্ষোভে উপস্থিত হন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে এসে উপস্থিত হন মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন। তাঁর বক্তব্যের পরপর ১৭ নম্বর ভবেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি কিছুদূর আগানোর পর পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ভবেরচর কলেজ রোড হয়ে ভবেরচর বাজার এলাকায় এসে মিছিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আর বেশিদূর এগোতে পারেনি। পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
সম্পাদক কারুজ্জামান রতন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাঁকে মিথ্যা মামলায় আটক রেখেছে সরকার। এখনও তিনি মুক্ত হতে পারেননি। সারা দেশে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে সরকার। সারা দেশে নজিরবিহীন লোডশেডিং, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সবকিছুর দায় সরকারের। এসবের দায় নিয়ে সরকারকে বিদায় নিতে হবে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রফিকুল ইসলাম মাসুম, মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইদ্রিস মিয়াজী মোহন, মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম পিন্টু, গজারিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সিদ্দিক উল্লাহ ফরিদ, সদস্য সচিব আব্দুর রহমান শফিক, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক এ কে এম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাহাদী ইসলাম বাবু প্রমুখ।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, ‘যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় থানা পুলিশ প্রস্তুত ছিল। সার্বিক অবস্থা বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে বোঝানো হয়েছে এবং তারা সেটা শুনে বাড়ি চলে গেছেন।’