মেয়াদোত্তীর্ণ করোনা সনদে যাত্রীর ভ্রমণ, জরিমানা গুনল ইন্ডিগো এয়ারলাইনস
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ‘নেগেটিভ’ সনদ দেখিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন এক বাংলাদেশি যাত্রী। কিন্তু ভারত থেকে পুনরায় বাংলাদেশে আসার সময় তিনি আর নতুন করে নেগেটিভ সনদ সংগ্রহ করেননি।
ওই যাত্রী আগের করোনা সনদ, অর্থাৎ তাঁর কাছে থাকা বাংলাদেশি নেগেটিভ সনদ দাখিল করে ভারতের দিল্লি থেকে দেশে এসেছেন, ওই সনদটি মেয়াদোত্তীর্ণ। ভারতের ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তিনি দেশে এসেছেন। আর এখানেই ঘটেছে বিপত্তি।
বাংলাদেশি নেগেটিভ সনদে কীভাবে একজন যাত্রী ভারত থেকে ভ্রমণ করতে পারেন, সেই অভিযোগ তুলেছেন হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর এই অভিযোগে ওই যাত্রী পরিবহণ করা ইন্ডিগো এয়ারলাইনসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দরের দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল আজ রোববার সকালে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আহমেদ জামিল বলেন, ‘গতকাল শনিবার বিকেলে দিল্লী থেকে আসা ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের ফ্লাইটের একজন যাত্রীর সঙ্গে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সনদ ছিল না। ওই যাত্রী একজন বাংলাদেশি। তবে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে নিয়ম মেনে যথাসময়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ নিয়েছিলেন।’
নির্বাহী ম্যাজিস্টেট আরো বলেন, ‘ওই যাত্রী যখন আবারও ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন, তখন আগের ওই সনদ, অর্থাৎ বাংলাদেশি মেয়াদোত্তীর্ণ সনদটি দেখিয়ে বোর্ডিং পাস পেয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের লোগো অঙ্কিত সনদটি ভাল করে না দেখে, তাতে চোখ না বুলিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে যিনি যাত্রীকে বোর্ডিং পাস দিয়েছেন, তিনি অবশ্যই গাফিলতির পরিচয় দিয়েছেন। ফলে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
‘ঢাকায় ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের প্রতিনিধি আমাদের জানিয়েছেন যে, দিল্লি বিমানবন্দরে গাফিলতির জন্য দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাঁরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন,’ যোগ করেন আহমেদ জামিল। তিনি বলেন, ‘গত এক মাসে কোভিড-১৯ পরীক্ষার সন্তোষজনক সনদ ছাড়া বাংলাদেশে যাত্রী এনে মোট ১৫টি এয়ারলাইনস এক বা একাধিকবার দোষী সাব্যস্ত হয়ে মোট ২৫ লাখের বেশি টাকা জরিমানা দিয়েছে। এ তালিকায় দেশি এয়ারলাইনস যেমন আছে, তেমনি বিদেশি এয়ারলাইনসও আছে। এ তালিকায় অভিজাত এয়ারলাইনসও আছে। বাংলাদেশ সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম ভেঙে যাত্রী আনলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হয়নি।’
আহমেদ জামিল বলেন, ‘আকাশপথে বিদেশ থেকে কোভিডে আক্রান্ত যাত্রী আসা ঠেকাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ কঠোর হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন কোভিডের দ্বিতীয় বা তৃতীয় ঢেউয়ে কাবু হয়ে গেছে, তখন অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা বাংলাদেশে কোভিডের নতুন কোনো ভ্যারিঅ্যান্ট প্রবেশ করবে না, এটাই প্রত্যাশিত।’