মোংলায় দুই ভাইকে নির্যাতন : ইউপি মেম্বরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাগেরহাটের মোংলায় ‘টর্চার সেলে’ দুই ভাইকে নির্যাতনের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ওই ইউপি সদস্যের ছেলে জাকিরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার কানাইনগরের জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার চাঁদপাই ইউয়িনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সুলতান হাওলাদেরের ‘টর্চার সেলে’ বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকার নামে দুই ভাইকে বিবস্ত্র করে দিনভর দফায় দফায় নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। পরে ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হাদীউজ্জামান খাঁন বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার বিনোদ ও বিপ্লবের ভাই কুমুদ সরকার শনিবার রাতে থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তার জাকিরের নামে মোংলা থানায় নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের আরও ৬টি মামলা রয়েছে।’
হাদীউজ্জামান খাঁন জানান, রোববার সকালে গ্রেপ্তারের আগে গত ২১ মার্চ জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে কানাইনগরের খ্রিস্টান পাড়া থেকে এক যুবতীর ঘর থেকে মদ্যপ অবস্থায় জাকিরকে আটক করে পুলিশ।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সুলতান মেম্বরের ছেলে জাকির একজন চিহ্নিত অপরাধী। তার নামে নানা অপরাধমূলক অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ শনিবার সংখ্যালঘু দুই ভাইকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার মূল হোতাও সে। এরই মধ্যে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মামলার বাদী উত্তর কাইনমারী গ্রামের কুমুদ সরকার বলেন, ‘অর্ডার দেওয়া ফার্নিচার সরবরাহ দিতে দেরি হওয়াকে কেন্দ্র করে আমার দুই ভাই বিনোদ সরকার ও বিপ্লব সরকারকে শনিবার শহরের বাংলাদেশ হোটেলের সামনে থেকে তুলে নেয় মেম্বর সুলতান ও তাঁর ছেলেরা। পরে সিঙ্গাপুর মার্কেটে তাদের টর্চার সেলে বিবস্ত্র করে তার ভাইদের দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয়। স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ‘দুই ভাইকে নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য সুলতান হাওলাদারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি। মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে (ইউপি সদস্য পদ) বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’