ময়মনসিংহে গাছকাটা শ্রমিক নির্মিত নৌকা তোরণ রক্ষার দাবি
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের আব্দুস সালাম (৬০) একজন গাছকাটা শ্রমিক। তার বাড়ি উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মারুয়াখারি গ্রামে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি তিনি অন্তপ্রাণ। তার স্বাক্ষর রেখেছেন ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের মৃগালি বাজারের পাশে নৌকার তোরণ নির্মাণ করে।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষে এক বছর আগে তোরণটি নির্মাণ করেন আব্দুল সালাম। তোরণটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকা। তোরণটির দৈর্ঘ্য-প্রস্ত চৌদ্দ ফুট। এর উপরে রয়েছে একটি নৌকা। দুই পাশে একটি করে জাতীয় ফুল শাপলা। নৌকার ছৈয়ার অগ্রভাগে উড়ছে লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা। এ ছাড়া তোরণটির দুই পাশের খুঁটিতে সাদা টাইলসে খচিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুটি করে ছবি।
একজন ঠিকাদারকে ৪০ হাজার টাকা চুক্তি দিয়ে তোরণটি নির্মাণ করা হয়েছে। তোরণ নির্মাণে আব্দুস সালাম কারও কাছ থেকে কোনো অর্থ সহায়তা নেননি।
গাছকাটা শ্রমিক আবদুস সালামের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। এ ভাঁজের কারণ আঞ্চলিক সড়কটির প্রশস্ততা বৃদ্ধির পরিকল্পনা। শুরু হয়েছে জমি অধিগ্রহণের কাজ। রাস্তাটি প্রশস্ত করার কারণে তার কষ্টের টাকায় নির্মিত তোরণটি ভেঙে ফেলা হবে। এ বিষয়ে তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসায় নির্মিত তোরণটি যেন অটুট থাকে এটাই তার প্রত্যাশা।
এ বিষয়ে সরিষা ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন, ‘তোরণ নির্মাণের সময় জমির মালিক জমি দিতে চাননি। আমরা বলে-কয়ে জমি নিয়েছি।’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের আঠারবাড়ি ওয়ার্ড সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন এবং আওয়ামী লীগকর্মী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘আব্দুস সালাম নিজের উপার্জন থেকে একটু একটু সঞ্চয় করে তোরণটি নির্মাণ করেছেন। এখন রাস্তা প্রশস্ত করা হলে তোরণটি ভেঙে ফেলতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা বিকল্প উপায়ে যেন এটি রক্ষা করা হয়। নতুবা অন্যত্র সরিয়ে নিতে যে পরিমাণ অর্থ দরকার তা দিয়ে সহায়তা করার জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার দাবি করছি আমরা।’