যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, তারা কোনো উন্নয়ন করেনি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, তারা দেশের কোনো উন্নতি করেনি। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। আমরা সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিমানবন্দরটির রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ ও দৃষ্টিনন্দন সৈকত, পর্যটনকেন্দ্র ও অত্যন্ত আধুনিক শহর। আমরা সেভাবে পুরো কক্সবাজারকে উন্নত সমৃদ্ধ করে সাজাব। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বালুকাময় সৈকতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য স্পেশাল জোন করা হবে। যেখানে শুধু বিদেশিরা আসতে ও যেতে পারবেন। তাঁরা যেন তাদের মতো করে সবকিছু উপভোগ করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’
কক্সবাজার বিমানবন্দরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বিমান মন্ত্রণালয়ের সআিব ও সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ-এর (সিএএবি) চেয়ারম্যান এবং ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমুদ্র তীরবর্তী জমি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ করে সরকার বিমানবন্দরটির আরও উন্নয়ন ঘটানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো তাদের বড় বড় ফ্লাইটও এই বিমানবন্দরে অবতরণ করাতে পারে।
প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে নতুন ১০ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে হবে, যার ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বোইং ৭৭৭ ও ৭৪-এর মতো বড় আকারের ফ্লাইটগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে এবং এর ফলে এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পথ সুগম হবে।
সিএএবি চীনের চ্যাংজিয়াং ইচ্যাং ওয়টারওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো (সিওয়াইডব্লিউইবি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সস্ট্রাকশন করপোরেশন-এর (সিসিইসিসি) সঙ্গে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি এই প্রকল্পের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার এই প্রকল্প ২০২৪ সালের মে মাসে সম্পন্ন হবে। সরকার ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।