রংপুরে অবৈধ যান বন্ধের ধর্মঘটে সড়কজুড়ে ইজিবাইকের দাপট
মহাসড়কে নছিমন-করিমনসহ লাইসেন্সবিহীন অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে ধর্মঘট পালন করছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। গতকাল ভোর ৬টা থেকে বন্ধ আছে গণপরিবহন। কিন্তু, অবৈধ যান বন্ধের দাবিতে ডাকা ধর্মঘটে নগরীর বিভিন্ন সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। বাস না পেয়ে যাত্রীরা অটোরিকশায় চড়তে বাধ্য হচ্ছেন। গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
আজ শনিবার দুপুর ২টা থেকে রংপুরের কালেক্টরেট মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির গণসমাবেশ। তাই শুক্রবার থেকেই সমাবেশে আসছেন নেতাকর্মীরা। কেউ হেঁটে, আবার কেউ সাইকেল কিংবা মোটরসাইকেলে, আবার কেউ অটোরিকশায় আসছেন। শনিবারও অটোরিকশার বহর নিয়ে নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে দেখা যায়। এতে কয়েকগুণ আয় বেড়েছে ইজিবাইকচালকদের।
স্থানীয় এক ইজিবাইক চালক জানান, ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর থেকে তারা দিনে তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় করেছেন। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে তাদের দৈনিক আয় হতো ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ইজিবাইক চালক দলিলুর রহমান বলেন, ‘রংপুর শহরে প্রায় ৩০ হাজার ইজিবাইক রয়েছে। পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে ইজিবাইক চালকরা রংপুর-পার্বতীপুর, রংপুর-সৈয়দপুর, রংপুর-ফুলবাড়ী, রংপুর-লালমনিরহাটসহ দূর-দূরান্তে চলাচল শুরু করেছেন।’
রংপুরে প্রবেশের রাস্তা আছে পাঁচটি। এর মধ্যে রংপুর-কুড়িগ্রাম হচ্ছে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের মানুষের প্রবেশপথ, দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ের প্রবেশপথ এবং রংপুর-বগুড়া সড়ক গাইবান্ধা ও বগুড়াবাসীর প্রবেশপথ। এ ছাড়া আরও দুটি আঞ্চলিক সড়ক আছে। এরমধ্যে একটি ফুলবাড়ী-রংপুর এবং রংপুর-পার্বতীপুর সড়ক, যা রংপুরে যাওয়া আসার জন্য ব্যবহার করা হয়।
শুক্রবার রাতে ও শনিবার সকালে এসব প্রবেশপথে দেখা যায়, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ রংপুরে আসছেন। তাদের প্রায় ৮০ শতাংশই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে অটোরিকশাচালক মজিবর রহমান বলেন, ‘রংপুর শহরে প্রায় ৩০ হাজার অটোরিকশা আছে। পরিবহন ধর্মঘট শুরু হলে অটোরিকশা চালকরা রংপুর-পার্বতীপুর, রংপুর-সৈয়দপুর, রংপুর-ফুলবাড়ী, রংপুর-লালমনিরহাটসহ দূর-দূরান্তে যানবাহন চালাতে শুরু করেন। অন্যদিকে, অন্য জেলা থেকেও প্রচুর অটোরিকশা আসছে।