রংপুরে আইনজীবী হত্যা : দুজনের মৃত্যুদণ্ড, এক নারীর যাবজ্জীবন
রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী আসাদুল হক হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক হাসান মাহমুদুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— রংপুর তাজহাট থানা এলাকার ধর্মদাস বারো আউলিয়া গ্রামের রতন মিয়া (৩২) এবং খোর্দ্দ তামপাট আদর্শপাড়া এলাকার সাইফুল ইসলাম (২৬)। এ ছাড়া মোর্শেদা বেগম নামে এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৫ জুন দুপুর দেড়টার দিকে চুরি করতে গিয়ে আইনজীবী আসাদুল হকের কাছে ধরা পড়েন রতন। পরে তাঁর গলায় ও পেটে ছুরিকাঘাত করে দেওয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা রতনকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তাজহাট থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। করোনা পরিস্থিতিতে ছোট মেয়ে আরফিন নাহার অংকনকে নিয়ে স্ত্রী নিজ গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুরের বালুয়া ছড়ান এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ওই আইনজীবী একা ধর্মদাস বারো আউলিয়ার বাড়িতে বাস করছিলেন।
নিহত আইনজীবী আসাদুল হক রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্য ও সাবেক এপিপি ছিলেন।
এ ঘটনায় আসাদুল হকের ছোট মেয়ে আরফিন নাহার অংকন বাদী হয়ে রতন ও সাইফুলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে তদন্তে মোর্শেদা বেগম নামের এক নারীর নাম উঠে আসে। মোর্শেদা বেগম মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রতনের মা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল মালেক রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আশা করি উচ্চআদালতেও এই রায় বহাল থাকবে।’