রাঙামাটিতে নমুনা সংগ্রহের পরের দিনই মারা গেলেন শ্বাসকষ্ট-কাশিতে
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ শ্বাসকষ্ট ও কাশি নিয়ে এক ব্যক্তির (৫৫) মৃত্যু হয়েছে। রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় আজ সোমবার ভোরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি শহরের ভেদভেদী এলাকায় বাস করতেন বলে জানা গেছে।
রাঙামাটির সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা প্রতিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্বাসকষ্ট ও কাশি নিয়ে গতকাল রোববার ওই ব্যক্তি রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। গতকালই করোনা সন্দেহে পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। পরে আজ সোমবার ভোরে তিনি আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় মারা যান। ওই ব্যক্তির মধ্যে করোনা ছিল কি না, তা রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাবে না। আজ বিকেল নাগাদ রিপোর্ট আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
সিভিল সার্জন আরো জানান, মৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি কুষ্টিয়ায় বলে জেনেছি। তবে তিনি রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী এলাকায় বাস করতেন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর উত্তম কুমার দাশ জানিয়েছেন, যেহেতু ওই ব্যক্তি আইসোলেশনে ছিলেন এবং তাঁর রিপোর্ট এখনো আমাদের হাতে আসেনি, তাই করোনা রোগীকে যেভাবে সমাহিত করা হয়, সেভাবেই তাঁকে সমাহিত করা হবে।’
চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা শুরুর পর রাঙামাটি থেকে শনিবার পর্যন্ত ৪৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। এদের সবার রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে। এর আগে গত শুক্রবার রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে থাকা আরেকজনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল রোববার রাঙামাটি থেকে আরো ১৫ জনের নমুনা পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য। তাদের মধ্যে ওই মৃত ব্যক্তিও ছিলেন। আজ অথবা কাল মঙ্গলবার তাদের রিপোর্ট আসার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। যদি এই ব্যক্তির রিপোর্ট পজেটিভ আসে, তবে তিনি হবেন এই জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। অবশ্য এর আগে রাঙামাটিতে বাড়ি, এমন অন্তত দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হবিগঞ্জ ও আরেকজন নারায়ণগঞ্জে রয়েছেন।