রূপগঞ্জে আ.লীগের দুই নেতার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-আগুন, গুলিবিদ্ধ ২
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচনি সহিংসতায় নাওড়া এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগের দুই নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর অবস্থায় ইউসুফ মিয়া এবং রেনু মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনারা বেগম জানান, হামলাকারীরা কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন এবং কায়েতপাড়া ইউনিয়ন মহিলা লীগের সভাপতি জোসনা আক্তারের বাড়িতে এ হামলা চালায়।
গুলিবিদ্ধ নাওড়া গ্রামের ইউসুফ মিয়া ও রেনু মিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া আহতদের মধ্যে সুবহান, জায়েদা খাতুন, নুরজাহানকে ঢাকার ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি আমির হামজা অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনে পরাজিত বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান এবং তার সমর্থকেরা এ হামলা চালায়। মিজানুর রহমানের বড় ভাই কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে।’
কায়েতপাড়া ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী বলেন, ‘নির্বাচনের পরদিন থেকে নাওড়া এলাকার নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের বাড়িতে একের পর এক হামলা, লুটপাট চালানো হচ্ছে। কিন্তু, পুলিশ ও র্যাব সন্তোষজনক ভূমিকা রাখছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের মামলা নিচ্ছে না পুলিশ। তাতে সন্ত্রাসীরা উৎসাহিত হচ্ছে। গত শনিবার (২৭ নভেম্বর) ৮ জন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় পুলিশ এখনও মামলা নেয়নি।’
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।’
গত ১১ নভেম্বর কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হন।