শরীয়তপুরে বন্যার্তদের মধ্যে পুলিশের ত্রাণ বিতরণ
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় বন্যায় দুর্গতদের মধ্যে পুলিশ মহাপরির্দশকের (আইজিপি) পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান আজ শুক্রবার দুপুরে ট্রলার নিয়ে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বানভাসীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেন।
ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল শাড়ি, লুঙ্গি, চাল, তেল, ডাল, সাবান ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট। ১৫০ পরিবারের মধ্যে এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
পুলিশের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জান। এ সময় ডিআইও ১ আজহারুল ইসলাম, নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহামন, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে শরীয়তপুরে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ সকাল ৬টায় সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার নড়িয়া, জাজিরা, ভেদরগঞ্জ ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ৪০টি ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৪ হাজার ৩১৮ পরিবার।
শরীয়তপুর-ঢাকা সড়কের বিভিন্ন স্থান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় কয়েকশ মাছের ঘের, পানের বরজ ও ফসলি জমি।
খামারিরা জানিয়েছেন, মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। পানিবন্দি মানুষের মধ্যে খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
শরীয়তপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আছাদুল হক বলেন, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, সাত লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৪১০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।