শরীয়তপুর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী সাতক্ষীরা সীমান্তে উদ্ধার
প্রেমের ফাঁদে ফেলে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভারতে পাচারের চেষ্টাকালে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে দেবহাটা থানায় ওই স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়। তবে গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত সুমন হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে গতকাল রোববার রাতে সাতক্ষীরার দেবহাটা থানার উপরিদর্শক (এসআই) নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে দেবহাটা থানার পদ্মশাখরা সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করে। সুমন সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার ঢেপুখালীর আব্দুস সবুর সরদারের মেজছেলে। ওই স্কুলছাত্রীর বাড়ি শরীয়তপুরে।
স্কুলছাত্রীর মা বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকালে আমার মেয়ে স্কুলে পরীক্ষা দিতে যায়। কিন্তু বিকেল হলেও বাড়িতে ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে থানায় জিডি করি। পরে দেবহাটা সীমান্ত এলাকা থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সুমনের বাবা সবুর সরদার বলেন, ছেলে শরীয়তপুরে ইটভাটায় কাজ করতে যাওয়ার সুবাদে মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচয়। সেই সূত্রে সুমনের হাত ধরে মেয়েটি পালিয়ে আসে। তাকে অপহরণ করা হয়নি বলে দাবি করেন সবুর সরদার।
দেবহাটা থানার এসআই নুর মোহাম্মদ বলেন, গোপন সূত্রে জানতে পারি মেয়েটি দেবহাটা উপজেলার আতাপুর গ্রামে সুমনের ভগ্নিপতি সাহেব আলী সরদারের বাড়িতে রয়েছে। পরে মেয়েটিকে সরিয়ে ফেলায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে উদ্ধারে ব্যর্থ হই। পরবর্তী সময়ে ভারতে পাচারকালে দেবহাটার পদ্মশাখরা সীমান্ত এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করি। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী সুমন ও তার ভগ্নিপতি সাহেব আলী পালিয়ে যান।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, শরীয়তপুর জেলা থেকে হারিয়ে যাওয়া অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী দেবহাটা থানা এলাকায় আছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাত ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়। পরে আজ দুপুরে তাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।