শান্তির জন্য ধর্মীয় আচরণ ছাড়া বিকল্প নেই
বৌদ্ধধর্মীয় গুরু সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের অন্যতম শিষ্য নন্দপাল মহাস্থবির বলেছেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য হিংসা-হানাহানি, লোভ-মোহ ত্যাগ করে সবাইকে গৌতম বুদ্ধের আদর্শ অনুসরণ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মৈত্রীবাণীর প্রচার ও প্রসার।
আজ শনিবার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার অজল চুগ বন বিহারে পঞ্চম মহান কঠিন চীবর দান উৎসবে সমবেত দায়ক-দায়িকাদের উদ্দেশে নন্দপাল মহাস্থবির এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত সবাইকে মাদকসহ সব অধর্ম কাজ ত্যাগ করে ভালোর পথে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি। তাঁর মতে, সবার শান্তির জন্য ধর্মীয় আচরণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
অজল চুগ বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ সত্যমতি ভান্তের সভাপতিত্বে ধর্মদেশনা অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক ছিলেন বনভান্তের অন্যতম শিষ্য নন্দপাল মহাথের ভান্তে। এ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শতরূপা চাকমা প্রমুখ।
এ সময় সাধনাটিলা বন বিহারের বিহারাধ্যক্ষ বুদ্ধ বংশ মহাথের, দীঘিনালা বনবিহারের বিহারাধ্যক্ষ শুভ বর্ধন মহাস্থবিরসহ দুই পার্বত্য জেলার শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং কয়েক হাজার নর-নারী ও শিশুরা পুণ্যলাভের আশায় অংশগ্রহণ করেন।
এ উৎসব উপলক্ষে সকালে ও বিকেলে দেশ-জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বিশ্ব শান্তি ও সবার মঙ্গল কামনায় পঞ্চশীল গ্রহণ, বুদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান, কল্পতরু দান ও চীবর দান উৎসর্গ করা হয়।
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে নন্দপাল মহাস্থবির খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। এ সময় সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সদস্য শতরুপা চাকমাসহ উপস্থিত দায়ক-দায়িকারা ঐতিহ্যবাহী মাঙ্গলিক ছাতায় তাঁকে বরণ করেন। এ সময় ধর্মপ্রাণ বৌদ্ধ নারী পুরুষরা তাঁকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন।