শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সংশোধনাগারে কিশোর
মানিকগঞ্জে সদরে দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে ১০ম শ্রেণির এক কিশোরকে গতকাল বুধবার রাতে আটক করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত ১৫ বছরের ওই কিশোরকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের শিকার দুই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে আজ। তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছে বিকেলে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, সদর উপজেলায় গত ১২ জুলাই দুপুরে ১০ বছরের শিশু দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ১০ম শ্রেণির ছাত্র তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে কৌশলে ধর্ষণ করে। ওই ধর্ষণের ঘটনা দেখে ফেলে আরেক প্রতিবেশি ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। ওই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাটি সবাইকে বলে দেবে বলার পর কিশোর অপরাধী কৌশলে ওই ছাত্রীকে ঘরে নিয়ে যায়। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকেও ধর্ষণ করে। ঘটনাটি দুই শিশুই পরিবারের কাছে গোপন রাখে। কিশোর অপরাধে অভিযুক্ত ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্র ঘটনাটি তার এক বন্ধুকে বলে। ওই বন্ধু গতকাল বুধবার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর চাচিকে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর চাচি ঘটনাটি তার পরিবারের সদস্যদের জানান।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার দুই শিশুর কোনো আত্মীয় সিলেট থেকে গতকাল রাতে ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ করেন। ৯৯৯ নম্বরের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতেই অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযুক্ত ওই কিশোর পুলিশের কাছে তার অপরাধ স্বীকার করেছে। দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর মা বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার আটক কিশোরের মামলা করেছেন। অপরদিকে ধর্ষণের শিকার দুই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা আজই সম্পন্ন হয়েছে। পরে দুপুরের পর দুই শিশুকে আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে দুই শিশু ২২ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালতের বিচারক ওই কিশোরকে গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।