শীত না আসতেই পাবনায় বাড়ছে শীতজনিত রোগী
শীত আসতে এখনও বাকি, চলছে হেমন্ত। এরই মধ্যে পাবনাসহ আশপাশের এলাকায় বাড়ছে ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধসহ অন্তত অর্ধশত রোগী। এতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে, রোগীদের জন্য ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাইরে থেকে, রয়েছে আরও অভিযোগ। যদিও এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. ওমর ফারুক মীর।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ১৫ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৬২ রোগী ভর্তি রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ৩৮ বেডে ১৪৫ রোগী ভর্তি। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালের বারান্দা ও করিডোরে অবস্থান করতে হচ্ছে তাদের।
সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুড়ে দেখা গেছে, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ছোট্ট একটি বারান্দায় রোগী ও স্বজনরা গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন। এতে চরম বিপাকে পড়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগী ও স্বজনরা ।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে শুধু বিনা পয়সায় নার্সদের সেবা ছাড়া সব কিছুই বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। হাসপাতালে রোগী আর সঙ্গে থাকা মানুষদের জন্য যেই শৌচাগার আছে, তা ব্যবহারের মতো না। সব সময় নোংরা থাকে।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীর জানান, প্রতিদিনই ডায়রিয়া ও ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ৫০ থেকে ৬০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। হাসপাতালটি ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হলেও রোগী ভর্তি থাকে গড়ে চারশ থেকে ৪৫০ জন।
শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডের কর্তব্যরত এক নার্স জানান, ডায়রিয়া রোগীদের জন্য বর্তমানে কলেরা স্যালাইনের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শুধু মুখে খাবার স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। তাই চিকিৎসকরা যে ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছে রোগীর স্বজনরা বাইরে থেকে সেই ওষুধ কিনে আনছেন। আমরা শুধু সেগুলো নিয়ম অনুসরণ করে খাওয়াচ্ছি।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা অবগত রয়েছি। স্যালাইন সংকটের কথা জানানো হয়েছিল। সেটি ইতমধ্যে চলে এসেছে। আর হাসপাতালের চিকিৎসার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কথা বলবেন। হাসপাতালের শষ্যা অনুযায়ী চিকিৎসক সংকট রয়েছে।’
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. ওমর ফারুক মীর বলেন, ‘২৫০ শষ্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে নানাবিধ সংকট দীর্ঘদিনের। ভালো সেবা নিশ্চিত করতে সাধ্যমত চেষ্টা করছি। যেসব সংকট রয়েছে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।’