শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটার ভিড়
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। রাজধানী ঢাকা ছেড়ে যাওয়ার পরও ঈদকে ঘিরে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ও দোকানপাটে ভিড় জমিয়েছে রাজধানীবাসী।
আজ শুক্রবার রাজধানীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, গুলিস্থান, মৌচাকসহ বিভিন্ন দোকানে ও শপিং-মলে গিয়ে দেখা গেছে, শেষ মুহূর্তে কেনা-কাটার ভিড়। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে পছন্দের জামা-কাপড় ও আনুষাঙ্গিক জিনিষপত্র কিনছেন। তবে চাহিদামতো ক্রেতা না পাওয়ায় অসন্তুষ্টিতে রয়েছেন দোকানিরা।
নিউমার্কেটের শাপলা গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এই ঈদে করোনার কারণে বেশি ব্যবসা হয়নি। বেলা ১২টা বাজে। এখনো বিক্রি শুরু করতে পারি নাই।’ তিনি বলেন, ‘রোজার ঈদের সময় দোকান খুলতে পারি নাই। এই ঈদে মনে করেছিলাম ক্রেতা আসবে। কিন্তু এবারো সেরকম পাইনি। তবে কিছুটা বিক্রি-বাট্টা হয়েছে। দোকানের কর্মচারী ও দোকান ভাড়া সমানে থাকবে।’
নাসির আরো বলেন, ‘যে সব ক্রেতা আসছেন, তারা খুব দামাদামি করায় অনেকটা ক্রয়মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ তেমন হচ্ছে না।’ তবে মাল বিক্রি করে শেষ করতে পারলেই বাঁচি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ফারিন ফ্যাশনসের দোকানি কালাম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘রোজার ঈদের আগে অনেক পণ্য তোলা হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে দোকান বন্ধ থাকায় সেসব বিক্রি হয়নি। তবে এই ঈদে কিছু পরিমাণ বিক্রি হয়েছে। তবে আমরা সন্তুষ্ট।’
কালাম বলেন, ‘কোরবানির ঈদের সময় মানুষ পশু কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আবার অনেকে বোনাস পায়নি। তাই হয়তো কাস্টমার (ক্রেতা) কম।’ তবে আজ রাতে বেচা-বিক্রি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাসলিমা ইসলাম বৃষ্টি নামের এক ক্রেতা জানান, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় আজ কেনা-কাটা করতে এসেছেন। তবে বিক্রেতারা দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন। তিনি জানান, রোজার ঈদের সময় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকার কারণে এবং সরকার থেকে নিষাধাজ্ঞার কারণে বাজারে আসেননি। তবে এই ঈদে সরকার থেকে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিবার নিয়ে ক্রয় করতে এসেছেন।
নাদিরা নামের এক শিশু জানায়, বাবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাঁর (বাবা) ছুটি আজ থেকে শুরু হওয়ায় নিউমার্কেটে কেনা-কাটা করতে এসেছেন। এখানে এসে ঈদের আমেজ লাগছে বলে জানান তিনি।
নাদিরার বাবা হুমায়ুন বলেন, ‘রোজার ঈদের সময় মেয়ে ও পরিবারের কারো কোনো জামা-কাপড় কিনে দিতে পারিনি। কিন্তু এই ঈদে সামান্য কিছু কিনতে এসেছি। মেয়েদের ও পরিবারের সদস্যদের জন্য কিনতে পারব, তাই নিজের কাছে ভালো লাগছে।’