সংসদ সদস্য গেলেন কিন্তু টিকা নিলেন না
করোনাভাইরাসের টিকা নিতে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গেলেও শেষ পর্যন্ত টিকা নেননি সিলেট-৫ (কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার। দেশের প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি আজ বুধবার টিকা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ‘শরীর ভালো নয়’ জানিয়ে টিকা নেননি।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আজ বিকেলে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। আজ কুর্মিটোলা হাসপাতালে ৩২ জনকে টিকা দেওয়ার জন্য তালিকা করা হয়েছিল। সেই তালিকায় একমাত্র সংসদ সদস্য হিসেবে ৮৭ বছর বয়সী হাফিজ আহমেদ মজুমদারের নাম ছিল। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির এই চেয়ারম্যান টিকা নিতে আজ দুপুর ২টার দিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালে গিয়েও ছিলেন। তিনি টিকা নিতে এসেছেন বলে সেখানে থাকা সাংবাদিকদেরও জানান। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি স্বেচ্ছায় টিকা দিতে এসেছি। আমি এত বয়স্ক মানুষ টিকা নিলে সাধারণ মানুষ অনুপ্রাণিত হবেন। তাই আমি টিকা নিতে এসেছি।’
এই বক্তব্যের পরে সংসদ সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন। বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী বক্তব্য শেষে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হলে তালিকার ১৮ নম্বরে নাম থাকা হাফিজ আহমেদ মজুমদার হাসপাতালের পেছনের গেট দিয়ে বের হয়ে যান।
টিকা না নিয়ে চলে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সংসদ সদস্য হাফিজ আহমেদ মজুমদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘টিকা নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছায় নাম নিবন্ধন করেছিলাম। কিন্তু অসুস্থ, তাই টিকা নিচ্ছি না।’ এই বলে তিনি গাড়িতে উঠে যান।
হাফিজ আহমেদ মজুমদার ১৯৩৩ সালের ২৯ মার্চ ভারতের করিমগঞ্জ উপজেলা বর্তমানে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পূবালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ২০১৫ সাল থেকে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি ১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়ে জয়লাভ করে সিলেট-৫ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন, এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয় লাভ করেন।