সনদ না নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে জেল-জরিমানা
সনদ না নিয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল বা ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২১’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহের ২০২০-২১ অর্থ বছরের কার্যাবলী সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন উল্লেখ করে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এতদিন আমাদের সিনেমাগুলোর অনুমোদন করা হতো ১৯৬৩ সালের সেন্সরশিপ অব ফিল্ম অ্যাক্ট-১৯৬৩ এবং ১৯৭২ সালের একটি অ্যামেন্ডমেন্ট অনুযায়ী। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে আইনটিকে সংশোধন করা হয়েছিল। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এটাকে মোডিফিকেশন করা হয়েছে যে, আইনটি একচুয়ালি সেন্সরশিপ আইন থাকা ঠিক হবে না, এটা সার্টিফিকেশন আইন হওয়া উচিত। তার একটা পার্ট থাকবে সেন্সর। শুধু সেন্সর থাকলে এখানে অন্যরকম অসুবিধা হয়।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এখন সার্টিফিকেশন আইন। সার্টিফিকেশন আইনে গেলে সেখানে সেন্সর একটা পার্ট থাকবে। সেজন্য উনারা একটা অ্যামেন্ডমেন্ট নিয়ে এসেছিলেন। এখানে খুব বেশি বা ম্যাসিভ কোনো চেঞ্জ হয়নি। সেন্সরশিপ যে আইনটি ছিল, তার সাথে কিছু-কিছু যোগ করে এ আইনটা নিয়ে আসা হয়েছে। বোর্ডে আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ১৪ জন সদস্যসহ মোট ১৫ জনের একটি বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবেন। চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণিবিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি করা হবে। সেটি বিধি নিয়ে নির্ধারণ করা হবে। সাত সদস্যের একটি আপিল বোর্ড থাকবে। সেখানে আগের মতোই ক্যাবিনেট সেক্রেটারি সভাপতি থাকবেন।’
আইনের খসড়ায় শাস্তির বিধান প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশনবিহীন কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন তাহলে সে অপরাধে তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো চলচ্চিত্রের সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করেন...অনেক সময় যে সিনগুলো সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত না বা সেন্সর না, সেগুলো যোগ করেন, তাহলে দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা হবে।’