সন্তান-নাতিদের মন রক্ষায় ব্যতিক্রমী মোটরসাইকেল ভ্রমণ
পবিত্র ঈদুল আজহা আজ। করোনার মধ্যে অনেকেই বিভিন্নভাবে ঈদের আনন্দ উপভোগ করছেন। কেউ বাসায় বসে, কেউ বা পশু কোরবানি করে, অনেকে আবার ঢাকার বিনোদন স্পটে ঘুরছেন। তবে দুপুর ১২টায় আসাদগেটের সামনে ব্যতিক্রমী এক দৃশ্যে চোখ আটকে যায়।
প্রাইভেট কোম্পানির এক চাকরিজীবী ভিন্নভাবে ঈদ উদযাপন করছেন। নিজের মোটরসাইকেলে ছেলেমেয়ে, নাতি, বড় ভাইয়ের ছেলেমেয়েসহ পাঁচজনকে চড়িয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। এক মোটরসাইকেলে ছয়জন চড়া সাধারণত রাজধানীতে চোখে পড়ে না। তবে ঈদের দিনে ওয়াহেদুজ্জামান নিজের পাশাপাশি বাসার সবাইকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আসাদগেট থেকে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে থামে তাঁর মোটরসাইকেল। ওয়াহিদুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘করোনার মধ্যে নাতি ও মেয়েরা ঘর থেকে বের হয়নি। তাই আজ ঈদের দিনে ঢাকা ফাঁকা থাকায় বের হয়েছি।’
ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, ‘ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সব বাচ্চা একসঙ্গে আবদার করে বসে। তাই সবাইকে নিয়ে এক মোটরসাইকেলে নিয়ে বের হলাম। এখানে আমার নিজের ছেলেমেয়ে ও নাতি এবং বড় ভাইয়ের বাচ্চারা রয়েছে। নাতিরা খুব ছোট, তাই তাদের সামনে নিয়ে গামছা দিয়ে বেঁধে রেখেছি, যাতে পড়ে না যায়। তিনি আরো বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে রাস্তার বাঁ-পাশ দিয়ে খুব ধীরে ধীরে মোটরসাইকেল চালাচ্ছি। তবে ঈদের মধ্যে মানুষ কম থাকায় তাদের মাস্ক পরাইনি।’
মোটরসাইকেলের মধ্যে ওয়াহেদুজ্জামানের নাতি ইশরাক বলে, ‘ঈদে খুব মজা লাগছে। দাদুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে আমরা সবাই একসঙ্গে চলছি।’
এদিকে ওয়াহেদুজ্জামানের মোটরসাইকেলে মোট ছয়জনকে দেখে অনেক উৎসুক জনগণকে আনন্দ নিতে দেখা গেছে।
এরই মধ্যে আসাদগেটে রিকশা দাঁড় করিয়ে যাত্রীর খোঁজে ছিলেন আলম মিয়া। তিনি খুব আগ্রহ নিয়ে ওয়াহেদুজ্জামানের মোটরসাইকেল চালানো দেখছিলেন। তিনিও হতবাক। এক মোটরসাইকেলে ছয়জন চলা কীভাবে সম্ভব! অনেকেই এভাবে ওয়াহেদুজ্জামানের মোটরসাইকেলের দিকে তাকিয়ে ছিলেন, দেখছিলেন তাঁর ভিন্ন ঈদ আনন্দ।