সরকারি চাল বেচা-কেনার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
নেত্রকোনার খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বারের বিরুদ্ধে সরকারি চাল অবৈধভাবে বেচা-কেনার অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ এলাকাবাসী। আজ রোববার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি দেওয়া হয়।
জানা যায়, গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টার দিকে খালিয়াজুরী উপজেলা সদরের ধনু নদের ফেরিঘাট এলাকা থেকে ৩৫৪ বস্তা চাল আটক করে স্থানীয় প্রশাসন। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় পাঁচটি প্রকল্পের নামে খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলিত এসব চাল অবৈধভাবে কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন সদরের চল্লিশা এলাকার লুৎফর রহমান নামে একজন চাল ব্যবসায়ী। যাওয়ার সময় জনতার সহায়তায় পুলিশের হাতে তিনি আটক হন। পরে ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ এ চাল কেনার দায়ে রাতেই ওই ব্যবসায়ী লুৎফরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে দুই সপ্তাহের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খালিয়াজুরী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সামিম সারোয়ার।
এ সময় লুৎফর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক লিখিত বক্তব্যে জনান, তিনি এসব চালগুলো কিনেছেন খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বারের কাছ থেকে।
খালিয়াজুরী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অজিত বরণ সরকার, সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান চৌধুরীসহ অর্ধশত মানুষের স্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপিতে আরও জানা যায়, অবৈধভাবে চাল কেনার অপরাধে লুৎফর রহমানের শাস্তি হলেও একই অপরাধের অপরাধী চাল বিক্রেতা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছোট ভাই খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগনেতা রাব্বানী জব্বারের কোনো শাস্তি হয়নি। কাবিখা কর্মসূচির প্রকল্প কমিটির কাছ থেকে চাল কিনে বিক্রি করার অভিযোগে রাব্বানী জব্বারের বিরুদ্ধেও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে স্মারকলিপি ও বিক্ষোভ মিছিলে।
এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাব্বানী জব্বার জানিয়েছেন, ওই চাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে তিনি জড়িত নন।