সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধের ভাঙনস্থলে নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী রিং বাঁধ। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া রিং বাঁধ তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে রয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এ ছাড়া দুর্গত এলাকায় পৌঁছে গেছে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানিসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। 

স্থানীয়রা জানিয়েছে, তারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে রিং বাঁধ তৈরি করছে। পানিতে সবকিছু নিমজ্জিত হওয়ায় তাদের অন্ন সংস্থানের কোনো উপায় ছিল না। জেলা প্রশাসন ও বেশ কিছু এনজিওসহ স্বেচচ্ছাসেবী সংগঠন তাদের মধ্যে শুকনো খাবার ও পানি সরবরাহ করছে।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজি নজরুল ইসলাম জানান, রিং বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় ১৫ হাজার জিওব্যাগ ও এক লাখ সিনথেটিক ব্যাগ প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রবল জোয়ারের কারণে বাঁধ তৈরিতে কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে ভাটার সময় কাজে বেশ অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।

শ্যামনগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ভাঙন পয়েন্টে ১৬০ মিটার রিং বাঁধ তৈরি করা হবে। সেখানে কয়েকশ পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটও আমরা বিতরণ করেছি। দুর্গত মানুষের জন্য শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। রিং বাঁধ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত এই খাবার ও পানি বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া এলাকার লোকজন নিজ উদ্যোগে রিং বাঁধ তৈরির কাজ আরম্ভ করেছে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই রিং বাঁধ তৈরির কাজ শেষ হবে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দুর্গাবাটী গ্রামে খোলপেটুয়া নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা যায়। এরপর পানির তোড়ে প্রায় ১৫টি গ্রাম ভেসে যায়। এখনও সেখানে ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে।