সাত ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক, তদন্ত কমিটি গঠন
গাজীপুরের টঙ্গীতে মালবাহী ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুতের সাত ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম-সিলেট রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যে পৌনে ৬টার দিকে রেল যোগাযোগ শুারু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী রেল স্টেশন মাস্টার রাকিবুর রহমান।
স্টেশন মাস্টার জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী মালবাহী ট্রেন আজ সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে টঙ্গী এলাকায় পৌঁছালে তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে প্রথমে ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।
দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর একটি লাইন চালু করে দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী রেল চলাচল স্বাভাবিক করা হলেও সিলেট ও চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনার পরপরই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।
পরে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ট্রেন উদ্ধারে কর্তৃপক্ষ রিলিফ ট্রেন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে দুপুর পৌনে ২টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। বিকেল ৫টার দিকে লাইন থেকে দুটি বগি সরিয়ে নেওয়ার পর স্লিপার ও পাটাতন মেরামত কাজ শুরু করা হয়।
সবশেষ পৌনে ৬টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। সন্ধ্যা ৫টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনাকবলিত লাইন দিয়ে টঙ্গী স্টেশন অতিক্রম করে ঢাকায় প্রবেশ করে।
জয়দেবপুর রেল স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, দুর্ঘটনার পর জয়দেবপুর এলাকায় বনলতা এক্সপ্রেস, ধীরাশ্রম এলাকায় জামালপুর কমিউটার ও অপর একটি স্টেশনে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস দাঁড়ানো ছিল। দুপুর ১টার কিছু পর টঙ্গীর রেল স্টেশন এলাকার দুর্ঘটনাকবলিত পাশের লাইন চালু করে ট্রেনগুলো চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাদিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা খাইরুল কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনাটি কেন ঘটেছে, এজন্য কে বা কারা দায়ী এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।’