সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ টি এম গিয়াস উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এ টি এম গিয়াস উদ্দিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাজমহল রোড কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এ টি এম গিয়াস উদ্দিন গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার গ্রিন লাইফ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এনটিভি অনলাইনকে গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ টি এম গিয়াস উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
প্রবীণ এ রাজনীতিকের মৃত্যুর খবর শোনার পর শরীয়তপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীসহ স্বজনদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সাবকে এ প্রতিমন্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন শেষে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকের অর্থনীতি ও সাংস্কৃতিক সাময়িকীর (খণ্ডকালীন) সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৮ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় তাঁর। পরে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারের সময় শরীয়তপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৬ সালে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সাল থেকে এরশাদ সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে তিনি পুনরায় বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
সাবেক এ প্রতিমন্ত্রীর মৃত্যুতে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান কিরন, সাধারণ সম্পাদক সরদার এ কে এম নাসির উদ্দিন কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আহমেদ আসলামসহ শরীয়তপুর জেলা ও ছয় উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।