সিইসি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্তে দুদকে ১০ আইনজীবীর আবেদন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনারসহ (ইসি) কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর আজ বৃহস্পতিবার এ আবেদন করেন তাঁরা।
ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ ভাতার নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন এবং নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতি সাধনের বিষয়ে অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা ও মামলা দায়েরের আবেদন জানানো হয়েছে।
আবেদন জানানো আইনজীবীরা হলেন মোহাম্মদ শিশির মনির, মো. আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জুবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আর রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুস্তাফিজুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।
এই আবেদনের সঙ্গে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় গত ৩ জানুয়ারি ‘প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে ঘুম হারাম ইসির’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়, সংযুক্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত পদ ছাড়াই ‘বিশেষ বক্তা’, ‘কোর্স পরিচালক’ ও ‘কোর্স উপদেষ্টা’ হিসেবে ভাতা নেওয়া, নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি এবং খাত পরিবর্তন করে ভাতা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনাররা, বর্তমান সচিব, সদ্য সাবেক সচিব ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকে জড়িত ছিলেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
উল্লিখিত ব্যক্তিরা সরকারের মোট সাত কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচের মাধ্যমে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করেছেন। উল্লিখিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ ধরনের কর্মকাণ্ডের দ্বারা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৫১১/১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা অভিযোগ আমলে নিয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ১৭(ক), ১৭(খ), এবং ১৭(গ) ধারা অনুযায়ী অনুসন্ধান, তদন্ত পরিচালনা ও মামলা দায়েরের অনুরোধ জানানো হয়েছে।