সিলেটে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, নিহত ১
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল অস্বীকার করে রোববার সন্ধ্যার পরে বইটিকর এলাকায় পুলিশ ও চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আবদুস সালাম। তিনি বইটিকর বাজারের একটি গাড়ির গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। সালামের বাড়ি গোলাপগঞ্জের লক্ষীপাশা ইউনিয়নের রামপা গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছেন গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী।
আব্দুস সালামের মরদেহ বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, রোববার গোলাপগঞ্জের ফুলবাড়ি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়। রাত ৮টার দিকে ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি কেন্দ্রের ফলাফল অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামায়াত নেতা এমরান হোসেনের লোকজন বইটিকর বাজারে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে। এ সময় পুলিশ এসে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে এমরান হোসেনের সমর্থকদের তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে।
এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষকালে বইটিকর বাজারের একটি গ্যারাজের মেকানিক আবদুস সালাম গুরুতর আহত হন। এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সালামের বুক ও পেটে ছররা গুলির বহু চিহ্ন দেখা গেছে।
এদিকে, দেড় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হন। সংঘর্ষের সময় বইটিকরে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের দুপাশে কয়েক কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে পুলিশ। সংঘর্ষের পরে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এদিকে, গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফতেহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলের ভিডিও ধারণের সময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকেরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা, মাছরাঙ্গা টেলিভিশন ও এনটিভির ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে এনটিভির ক্যামেরা উদ্ধার সম্ভব হলেও মাছরাঙা টিভির ক্যামেরা দুই ঘণ্টা পর মসজিদ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।