সুনামগঞ্জে শ্মশান নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, হামলায় আহত ৪
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাথারিয়া কান্দাগাঁওয়ে একটি শ্মশানঘাট নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। এ হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের ভাই আসাদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমান ইউপি সদস্য আজিজুল হক ও তাঁর পরিবার এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামে একটি শ্মশানঘাট নির্মাণকে কেন্দ্র করে এই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। কয়েক বছর আগে থেকে একটি শ্মশানে মৃতদেহ দাহ করে আসছে স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। কিন্ত কিছুদিন আগে গ্রামের পশ্চিমে বিলের পাড়ে নতুন করে স্থায়ীভাবে শ্মশান নির্মাণের কাজ শুরু করে তারা। কিন্তু কাজের শুরু থেকে মরদেহ দাহ করার সময় গন্ধ বের হবে বলে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল ওই স্থানে শ্মশান নির্মাণে বাধা দিয়ে আসছেন। এই দ্বন্দ্বের জেরে গত রোববার রাতে ইউপি সদস্য ও তাঁর পরিবারের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে সুবল বর্মণ, অমল বর্মণ, দীপ্ত বর্মণ নামের তিন যুবক গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় উত্তর রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন জানান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুলের সঙ্গে কান্দাগাঁওয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী লোকজনের শ্মশান নির্মাণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। কিছু দিন আগে নতুন শ্মশান নির্মাণ করতে চাইলে দ্বন্দ্ব আরও বেড়ে যায়।
চেয়ারম্যান আরও জানান, এ ঘটনায় কেউ শ্মশানের কোনো জিনিসে হাত দেয়নি। বালু-পাথর ও ইট সব ঠিক আছে। শুধু লাঠি নিয়ে মারামারির ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের ভাইকে আটক করা হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আজিজুল পলাতক রয়েছেন।