সুনামগঞ্জে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীন মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শহিদুল ইসলাম দিরাই উপজেলার সরমঙ্গল ইউপির সদস্য এবং স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় শানে রিসালাত সম্মেলনে লক্ষাধিক মানুষের সামনে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই সূত্র ধরে পাশের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের ঝুমন দাস আপন তাঁর ফেসবুকে মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেন বলে দাবি করা হয়। এক পর্যায়ে ঝুমনকে খুঁজে বের করে গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশে দেয় লোকজন। এরপরও লোকজন শান্ত না হয়ে গত বুধবার সকাল থেকে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নোয়াপাড়া গ্রাম ঘিরে রাখে। পরে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের সরমঙ্গল ইউপির সদস্য শহিদুল ইসলামকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও দেড় হাজার জনকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে অপর মামলাটি করা হয়। পুলিশের করা মামলার বাদী হয়েছেন শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।
এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।