সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পাথরবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি স্পিডবোট ডুবে গিয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার পাটলাই নদীর বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কাছে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলো, সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী গ্রামের বরুজ মিয়ার স্ত্রী জোসনা বেগম (৩৫) ও তাঁর মেয়ে রুমি বেগম (৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খানের পরিবারের লোকজন তাদের নিজস্ব স্পিডবোটে করে গতকাল সোমবার বিকেলে এলাকার বাদাঘাট বাজারে আসে। এ সময় স্পিডবোট চালক বরুজ মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের সঙ্গে ছিল।

বাজারে কেনাকাটা শেষে সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফিরছিল। পথে পাটলাই নদীর বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কাছাকাছি যাওয়ার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পাথরবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং সেটি ডুবে যায়। এ সময় স্পিডবোটে থাকা অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠলেও জোসনা বেগম ও তাঁর মেয়ে রুমি নিখোঁজ হয়। পরে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আহত স্পিডবোটের এক যাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল লতিফ তরফদার জানান, স্পিডবোট ও বাল্কহেডের সংঘর্ষের পর স্পিডবোটের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় সেটি ডুবে যায়। এতে দুজন পানিতে ডুবে মারা যায়।