সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরা ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা শুরু
বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় সুন্দরবনে জেলে এবং পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে শুরু হয়েছে নিষেধাজ্ঞার সময়। চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। যদিও এ সময়ে সুন্দরবন উপকূলের জেলেদেরকে দেওয়া হবে সরকারি সহায়তা। আর পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সহায়তায় দিয়েছেন আশ্বাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বনবিভাগ জানায়, জুন-জুলাই-আগস্ট সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম। তাই গুরুত্বপূর্ণ এ সময়টাতে বনের নদী-খালে মাছ শিকার আহরণে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শুধু মাছ ধরাই বন্ধ নয়, নির্দিষ্ট এ সময় জুড়ে বনের অভ্যন্তরে ও অভয়ারণ্যে পর্যটকদের প্রবেশেও বন্ধ থাকছে। নিরাপদে এ প্রজনন মৌসুম পার করতে পারলে আগামীতে বন্যপ্রাণী ও মৎস্যসম্পদ অধিক সমৃদ্ধ হবে।
এদিকে তিন মাস সুন্দরবনে এলাকায় মাছ ধরা ও পর্যটক প্রবেশ বন্ধ থাকার ঘোষণায় দিশেহারা উপকূলের কয়েক হাজার জেলে, পর্যটন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায় সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
জানা গেছে, মোংলা উপকূলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাগর এবং সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল প্রায় ১২ হাজার জেলে। এ ছাড়া সুন্দরবনে পর্যটনশিল্পের সঙ্গে জড়িত ৫০০ নৌযানের (লঞ্চ, জালিবোট ও ট্রলার) সহস্রাধিক পরিবার আছে। অথচ, মাছ ধরা বন্ধের নিষেধাজ্ঞার সময় সরকারি সহায়তা পেয়ে থাকেন হাজারখানেক জেলে।
এনিয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলেদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চাল সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। এবারও তা দেওয়া হবে। তবে, পর্যটন সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা যদি সহায়তার আবেদন করেন, তা ট্যুরিজম বোর্ড ও পর্যটন করপোরেশনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তা প্রেরণ করে সহায়তা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হবে।’
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘প্রজনন মৌসুমের এ তিন মাস কঠোরভাবে পালন করা হবে। পূর্ব (বাগেরহাট) ও পশ্চিম (খুলনা) সুন্দরবন বিভাগের ৬২টি টহল ফাঁড়ি, ১৬টি স্টেশন ও চারটি রেঞ্জের আটটি স্মার্ট পেট্রোলিং টিম এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে সার্বক্ষণিক টহলে থাকবেন এ প্রজনন মৌসুম জুড়ে। এ সময়টা নিরাপদে পার করতে পারলে বনের বন্যপ্রাণী ও মৎস্য সম্পদ আরও অনেক সমৃদ্ধ হবে।’