স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাকে হত্যা : আলমগীর হোসেনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে হত্যার দায়ে মো. আলমগীর হোসেনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস, শবনম মুশতারী ও তারিকুল ইসলাম হীরা। আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান শুনানি করেন।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, আসামি আলমগীর হোসেন মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন। পশুর চেয়ে ঘৃণিত পন্থায় স্ত্রী ও দুই নিষ্পাপ শিশুসন্তানকে হত্যা করেছেন। তিনি সমাজের জন্য বিপজ্জনক। তাই, আসামি আলমগীর হোসেন আদালতের অনুকম্পা পেতে পারেন না।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২ আগস্ট পিরোজপুরে স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে আলমগীর হোসেন নামে একজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আলমগীর হোসেনের বাড়ি মঠবাড়িয়া উপজেলার পাঁঠাকাটা গ্রামে। তিনি পেশায় পল্লিচিকিৎসক। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, আলমগীর হোসেন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাঁর পরকীয়া প্রেমে বাধা হওয়ার কারণে স্ত্রী হাফিজা বেগম (৩৫), পুত্র আশরাফুল (১১) ও কন্যা জামিলাকে (৩) ২০০৮ সালের ২২ জুন রাতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে আলমগীর ওই রাত ১১টার দিকে তার শ্যালক আবুল বাসারকে ফোন করে জানান তাদের গ্রামে ডাকাত পড়েছে এবং ডাকাতরা তার স্ত্রী, পুত্র ও কন্যাকে জবাই করে হত্যা করেছে। ওই রাতেই নিহত হাফিজা বেগমের ভাই আবুল বাসার মঠবাড়িয়া থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।