‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে নদী ভাঙনপ্রবণ এলাকায় কাজ শুরু করা হয়েছে’
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, ‘এই করোনা দুর্যোগের মধ্যেও আগামী বর্ষা মৌসুমের কথা মাথায় রেখে সারা দেশের নদীভাঙন ও বন্যাপ্রবণ এলকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ শুরু করা হয়েছে।’
আজ বুধবার দুপুরে জেলার নড়িয়ায় মুলফৎগঞ্জে পদ্মার ডানতীর রক্ষাবাঁধের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন উপমন্ত্রী।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনা দুর্যোগের কারণে বিগত প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় থেকে শরীয়তপুরসহ সারা দেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু আগামী বর্ষা মৌসুমের ক্ষয়ক্ষতির কথা চিন্তা করে নদীভাঙন ও বন্যাপ্রবণ এলাকার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কাজ শুরু করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, করোনা ঝুঁকির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে প্রতিরোধমূলক কাজ করে নড়িয়াসহ সারা দেশের নদীভাঙন ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে পারব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভাঙন রোধে নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য পদ্মার ১১ দশমিক ৮ কিলোমিটার ডুবোচর ড্রেজিং করে অপসারণের কাজ চলছে। আশা করছি, বর্ষার আগেই আগামী এক মাসের মধ্যে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (নকশা) হারুন অর রশীদ, চিফ মনিটরিং প্রকৌশলী কাজী তোফায়েল, প্রধান প্রকৌশলী (ফরিদপুর) এস এম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও পদ্মার ডানতীর রক্ষাবাঁধ প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হেকিম, পানি উন্নয়ন বোর্ড শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীবসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।