হবিগঞ্জে গৃহবধূর হাত-পা ও মুখ বেঁধে পরিত্যক্ত ভবনে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ভবনে গত রোববার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ওই গৃহবধূর।
এর মধ্যেই গতকাল সোমবার বিকেলে এ খবর জানাজানি হলে রাতেই তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ বলছে, রহস্য উদঘাটন করতে নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।
গৃহবধূর অভিযোগ, গত রোববার সন্ধ্যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে আউশকান্দির শেরপুর এলাকা থেকে মজলিশপুরে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় মজলিশপুর নামিয়ে না দিয়ে তাঁর হাত-পা ও মুখ বেঁধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান অটোরিকশাচালকসহ কয়েকজন। পরে আউশকান্দি ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে রাতভর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণ শেষে পরদিন সোমবার সকালে অটোরিকশায় করে তাঁকে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এরপর স্থানীয় কিছু মাতব্বর ও জনপ্রতিনিধিরা আপসের চেষ্টা চালায়।
এদিকে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই গৃহবধূকে উদ্ধারসহ তাঁর বক্তব্য সংগ্রহ করেন। গৃহবধূ জানান, ধর্ষকরা তাঁর মোবাইল থেকে সিম খুলে নিয়ে গেছে এবং মোবাইলের ডিসপ্লে নষ্ট করে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে এএসপি পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, ‘ওই গৃহবধূর ভিন্নধর্মী বক্তব্যের জন্য মূল ঘটনাটি উদঘাটন করতে আমাদের বিলম্ব হচ্ছে। আমরা নিবিড়ভাবে তদন্ত করে মূল ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যেই মূল ঘটনা উদঘাটন হবে বলে আমরা আশাবাদী।’