হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনাটি সাজানো, হত্যার শিকার নারী : ধারণা চিকিৎসকের
রাজধানীর হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় ঝিলিক আলম (২৩) নামের এক নারীর মৃত্যুর হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন স্বামী সাকিবুল আলম। তবে চিকিৎসকের ধারণা, ঝিলিককে ‘শ্বাসরোধ’ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, আমরা ‘তদন্ত’ করে দেখছি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এনটিভি অনলাইনকে আজ শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘‘ঝিলিককে ঢামেকের ইমারজেন্সির যে চিকিৎসক প্রথম দেখেছিলেন, আমি নিজে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। ওই চিকিৎসক আমাকে বলেছেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা যদি হয়েও থাকে, তবুও ঝিলিককে আগেই হত্যা করা হয়েছে। আমার ধারণা, তাঁকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁকে বেঁধে নির্যাতনও করা হয়েছে। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’”
বাচ্চু মিয়া আরও বলেন, ‘এখন লাশ ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লাশ দেখে আমারও মনে হয়েছে, তাঁকে আগেই হত্যা করা হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনা আর হত্যার বিষয় তো আলাদা, যা বোঝা যাওয়ার কথা।’
রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতের পাশের দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ার পর ঝিলিক আলম নামের ওই নারী নিহত হয়েছেন বলে আজ শনিবার সকালে খবর পাওয়া গিয়েছিল। নিহত ওই নারীর স্বামীও দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
ঝিলিক আলমকে হত্যা করা হয়েছে—এমন অভিযোগ ওঠার পর হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন আজ শনিবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি সাকিবুল আলমের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর দাবি, তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল যাচ্ছিলেন। ঝিলিকের মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। মায়ের দাবি, তাঁকে আগেই নির্যাতন করে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। মাঝখানে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজানো হয়েছে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসকের দাবি, ঝিলিককে হত্যা করা হয়েছে। ঝিলিকের স্বামী এখন আমাদের হেফাজতে রয়েছে। গুলশান থানা পুলিশ এসেছে থানায়, তারা এখন সাকিবুলকে নিয়ে যাবে।’
এদিকে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঝিলিক আলমের মা আমাদের থানায় এসেছেন। তিনি হত্যা মামলা করার কথা জানিয়েছেন। তিনি এজাহার লিখছেন।’