১১ নভেম্বরের পর রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে : পরশ
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, এখন যত খুশি মিছিল মিটিং করুন, আগামী ১১ নভেম্বরের পর সারা দেশের রাজপথ যুবলীগের দখলে থাকবে। তখন টের পাবেন কত ধানে কত চাল।
আজ শনিবার সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ পরশ বলেন, ‘বিএনপি ভণ্ডদের দল, প্রতারকদের দল। এই দল এখন সভা-সমাবেশের নামে দেশজুড়ে মিথ্যাচার করছে। মানুষকে মিথ্যা কথা বলে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সমাবেশে গিয়ে তাদের নেতারা নাকে কান্না করছে। মানুষের ভণ্ডামির সীমা আছে কিন্তু, বিএনপির কোনো সীমা নেই। তাদের কোনো লজ্জা নেই।’
যুবলীগ সভাপতি পরশ বলেন, ‘পাঁচ বছর বয়সে বাবা-মা হারিয়েছি। ২১ বছর কোথাও বিচার চাইতে পারিনি। সেই বীভৎসতা এ দেশের মানুষ ভোলেনি। যুবলীগ সদস্যরা সব ষড়যন্ত্র উৎখাত করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচনে আবারও রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচিত করবেন।
সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশ হলে পরিবহণ ধর্মঘট আওয়ামী লীগ দেয় না। এই ধর্মঘট দেন পরিবহণ শ্রমিকরা। কারণ পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা জানে বিএনপি অতীতে আন্দোলন সমাবেশের নামে জ্বালাও পোড়াও করেছে, ভাঙচুর করেছে। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, ১৬৭ জন জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।’
দীর্ঘ ২৬ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল থেকেই যুবলীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে মাঠে আসে। দীর্ঘদিন পর সম্মেলন হওয়ায় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে এক ডজন নেতা প্রার্থী হয়ে ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার, তোরণ নির্মাণ করেছেন রংপুর নগরীসহ পুরো জেলায়। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।
সম্মেলনে সম্মানিত অতিথি রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, শাজাহান খান, বাণিজ্যমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা টিপু মুন্সি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সাবেক সংসদ সদস্য ও কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক প্রমুখ।