১৫ আগস্ট : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা, যে পথে যেতে হবে
আগামীকাল ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির পিতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী। যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডি–৩২ এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন। শোক ও শ্রদ্ধা জানাবেন।
ফলে এ দিন সূর্যোদয়ের পর থেকেই প্রচুর মানুষের সমাগম হবে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বর এলাকায়। ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বিভিন্ন পরিবহণে ও হেঁটে নেতাকর্মীসহ সাধারণ জনগণের আগমন ঘটবে। এ উপলক্ষে ধানমণ্ডি–৩২ এর চারদিকে রাস্তায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের যানবাহন সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও যানজট পরিহারের লক্ষ্যে ধানমণ্ডি–৩২, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর এলাকায় চলাচলরত গাড়ি চালক/ ব্যবহারকারীদের ১৫ আগস্ট ভোর থেকে অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বাধ্যবাধকতা সবাইকে মেনে চলতে হবে। এজন্য ডিএমপির নির্ধারিত পথ অনুসরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
যে পথে যেতে হবে
১. মিরপুর ও গাবতলী থেকে আগত রাসেল স্কয়ার–আজিমপুর অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–ধানমণ্ডি-২৭ ডানে মোড় নিয়ে শংকর–জিগাতলা–সাইন্সল্যাব হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
২. নিউমার্কেট ও সাইন্সল্যাব থেকে আগত রাসেল স্কয়ার অভিমুখী যাত্রীবাহী যানবাহন ধানমণ্ডি ২ নম্বর রোড বামে মোড় নিয়ে জিগাতলা–শংকর হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
৩. রেইনবো এফডিসি থেকে আগত রাসেল স্কয়ার অভিমুখী যাত্রীবাহী বাস সোনারগাঁও ক্রসিং বামে মোড় নিয়ে বাংলামটর দিয়ে শাহবাগ হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাবে।
৪. আমন্ত্রিত অতিথিদের গমনাগমনের পথ–মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ–ধানমণ্ডি ২৭–মেট্রো শপিংমল ডানে মোড়–আহসানিয়া মিশন ক্রসিং বামে মোড়–৩২ নং পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছাবে।
পার্কিং
১. ধানমণ্ডি-৩২ নম্বর ব্রিজের উত্তরের ১১ নম্বর রোডের উত্তর ও পশ্চিম প্রান্তে পতাকাবাহী, পিজিআর, এসএসএফ, ফায়ার সার্ভিস, বাহিনীর প্রধানসহ আইজিপি ও সিনিয়র সচিব/সচিব পদমর্যাদার লোকজন তাদের সব গাড়ি রাখবে।
২. ৩২ নম্বর ব্রিজের দক্ষিণ পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক নেতাদের সব গাড়ি রাখবে।
৩. আহসানিয়া মিশনের উত্তর রাস্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব গাড়ি রাখতে হবে।
জাতীয় শোক দিবসের এই কর্মসূচি চলাকালে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে। এজন্য যানবাহন চলাচলে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে ডিএমপি।
১৫ আগস্টের কর্মসূচির নিরাপত্তার ব্যাপারে আজ ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎবার্ষিকী। আপনারা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবেশ করবেন। এবং আপনাদের মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরিধান ব্যতীত কাউকে ভেন্যুতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যত দ্রুত সম্ভব শ্রদ্ধা জানিয়ে ভেন্যু ত্যাগ করতে হবে।’
ডিএমপির কমিশনার বলেন, ‘আগস্ট মাস বাঙালি জাতির জন্য একটি অভিশপ্ত মাস। জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারকেই শুধু হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকেরা। পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।’
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধানমণ্ডি ৩২ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসা প্রত্যেক ব্যক্তিকে চেকপোস্টে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ভেন্যুতে প্রবেশ করানো হবে। প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ ভেন্যুতে অবস্থান করবেন, ততক্ষণ কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর ও বনানী কবরস্থান পুরোটাই সিসিটিভির আওতায় থাকবে এবং আমরা এই দুটি ভেন্যু ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করব। এ ক্ষেত্রে সবাই কর্তব্যরত পুলিশকে সহযোগিতা করবেন।’
পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ‘শোক দিবস উপলক্ষে পুরো মহানগরীজুড়ে অজস্র রাজনৈতিক সংগঠন দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে। সব মিলিয়ে ঢাকা মহানগরজুড়ে আমাদের জাতীয় শোক দিবসের যে কর্মসূচি থাকবে, সেটি যাতে যথাযথ মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে উদ্যাপিত হয়, সে ব্যাপারে আমরা অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে মহানগরীজুড়ে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছি।’