৩০ লাখে শিশু হত্যার অনুমতি, বাবা- মা রিমান্ডে
নরসিংদীতে নিজের শিশুকে খুনের অভিযোগে মা-বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ ইলমা বেগমকে (১১) ইট দিয়ে আঘাত করে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। গত ৯ মার্চ সিআইডি জানায়, ইলমার মা-বাবা ও স্বজনরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
সিআইডি আরও জানায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁদে ফেলার উদ্দেশে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে ওই ভয়াবহ শিশু হত্যার কথা জানিয়েছে আসামিরা।
ইলমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের বিচারক মণীষা রায় আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত ইলমার বাবা আবদুল মোতালেব, মা মঙ্গলী বেগম, শাহজাহান ভূঁইয়া ও মো. বাতেন মিয়া।
সিআইডি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, প্রতিপক্ষ বাচ্চু মিয়াদের ফাঁসাতে টাকার লোভে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ মোতালেব নিজের শিশু ইলমাকে হত্যায় সহায়তা করেন। হত্যার একদিন পর বাড়ির পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত থেকে ইলমার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে প্রতিপক্ষ বাচ্চু গ্রুপের বিলকিস, খোরশেদ, নাসুসহ অজ্ঞাত পরিচয় চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে নরসিংদী সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ইলমার বাবা আবদুল মোতালেব। পরে মামলাটি তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এরই ধারাবাহিকতায় নিহতের ফুফাত ভাই মাসুমসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি পুলিশ। এর মধ্যে অপরাধের কথা স্বীকার করে গত ৮ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ইলমার ফুফাত ভাই মাসুম।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ইলমার মা-বাবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মণীষা রায়ের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করেন সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক মা-বাবাসহ চারজনের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত পরিদর্শক মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘মামলাটি ঢাকায় সিআইডি কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। আজ চারজনকে আদালতে সোপর্দ করে। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক গ্রেপ্তারকৃতদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।