সংগ্রামীদের পাশে সংগ্রাম
বরগুনায় সংগ্রাম করে পড়াশোনা করা অতিদরিদ্র পরিবারের অর্ধশত মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ১৮ হাজার টাকা করে বৃত্তি দিয়েছে উপকূলীয় উন্নয়ন সংগঠন ‘সংগ্রাম’। এক বছর পরে ভালো ফলাফলের শর্তে তাদের আরো ১৮ হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মো. মাসুম।
গত ২০ মে সকালে জেলা শহরে সংগ্রামের মিলনায়তনে বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলামের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ সহযোগিতা দেওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিক, শিক্ষানুরাগী, মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৫ সাল থেকে সংগ্রাম (সংগঠিত গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি) বরগুনাসহ আশপাশের উপকূলীয় অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। ২০১২ সাল থেকে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় পরিচালিত অতিদরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে আসছে সংগ্রাম।
এ কর্মসূচির অধীনে ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অতিদরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে যারা জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের তিনজনকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৪৫ হাজার টাকা, ২০১৩ সালে দুজনকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে ২০১৪ সাল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা সরকারিভাবে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন, অথচ যেসব শিক্ষার্থী জিপিএ ৪.০০-৪.৯৯ পেয়ে ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হচ্ছে তারা কোনো ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। এ কারণে ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অতিদরিদ্র সদস্যদের ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে যারা জিপিএ ৪.০০-৪.৯৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে, তাদের মধ্যে যারা বর্তমানে কলেজে অধ্যয়নরত তাদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগ্রামের সুবিধাভোগী অতিদরিদ্র সদস্যদের ছেলেমেয়েদের মধ্য থেকে ২০১৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় যারা জিপিএ ৪.০০-৪.৯৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের ৫০ জন শিক্ষার্থীকে এ শিক্ষাবৃত্তির আওতায় আনা হয়।