সাংবাদিক লাঞ্ছনায় দায়ী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিচার দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। মানববন্ধনে ঘটনার জন্য দায়ী ছাত্রলীগকর্মীদের বিচার চেয়েছেন বক্তারা। আজ বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক দি ইনডিপেনডেন্টের প্রতিনিধি জনি আলম বলেন, ‘আজ হয়তো বা আমাকে কোনো হাসপাতালে শুয়ে থাকতে হতো। আমরা দেখতে পাচ্ছি ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর সংগঠনটির নেতাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ হামলার দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
মানববন্ধনে দৈনিক প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এস এম রাসেল রাব্বী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে এ ধরনের বাজে চর্চা বন্ধ ছিল। গতকাল থেকে তা আবারও শুরু হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং একজন সাংবাদিক হিসেবে এ ধরনের হামলার বিচার চাই।’
মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খবির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শরিফ উদ্দিন এবং ছাত্রকল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উপদেষ্টা অধ্যাপক রাশেদা আখতার।
সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ সৈকতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমিতির সহসভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নাজমুস সাকিব রাফসান, দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি সানাউল্লাহ মাহী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসের প্রতিনিধি সৈয়দ এলতেফাত হোসাইন প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে একটি দরপত্রের টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ও ইংরেজি দৈনিক দি ইনডিপেনডেন্টের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জনি আলম, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম এবং অনলাইন পত্রিকা গ্রিনওয়াচবিডি ডটকমের প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন মিজানকে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরাফাত ও তাপস এবং দর্শন বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী লায়েবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন লাঞ্ছনা ও হামলার শিকার সাংবাদিকরা। এ তিনজনই ছাত্রলীগের কর্মী। ঘটনার দিন অস্ত্রধারীদের ছবি তুলতে গেলে ছাত্রলীগের মীর মোশাররফ হলের সাধারণ সম্পাদক আশফিক সরকার সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘পরে সবকিছু নিয়ে পোজ দিব আমরা। তখন ছবি তুলো।’