দুর্ঘটনা কারো কাম্য নয় তবুও ঘটে যায় : নৌমন্ত্রী
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, দুর্ঘটনা কারো কাম্য নয় তবুও ঘটে যায়। তারপরও আসন্ন রমজান এবং ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে লঞ্চচালকদের দুর্ঘটনার ব্যাপারে আরো সতর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহনসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘অপরাধ যেই করুক তাকে শাস্তি পেতেই হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া সার্কিট হাউস চত্বরে পদ্মা নদীতে এমভি মোস্তফা নামে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সহায়তা তুলে দেওয়ার সময় নিজের বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের পদ্মা নদীতে এমভি মোস্তফা নামের একটি লঞ্চডুবিতে নিহত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের হাতে ‘নৌদুর্ঘটনা তহবিল ট্রাস্টি বোর্ডের’ পক্ষ থেকে আজ এক সমাবেশে আর্থিক সহায়তার চেক বিতরণ করেন নৌপরিবহনমন্ত্রী।
সমাবেশের শুরুতেই লঞ্চ দুর্ঘটনার নিহতদের আত্মার মাফিরাত কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় শাজাহান খান ১৪টি জেলার ৮০ জন নিহত লঞ্চযাত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের হাতে এক লাখ পাঁচ হাজার করে টাকার চেক তুলে দেন। তিনি জানান, শিগগিরই এই অর্থের পরিমাণ এক লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নত করা হবে।
এ সময় শাজাহান খান আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রের নামে যারা মানুষ হত্যা করে তাদের দিয়ে গণতন্ত্র হয় না, তাদের দিয়ে খুনিতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায়।’
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের চিত্র তুলে ধরে নৌপরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মাহাথির মহম্মদ যেমন মালয়েশিয়া রাষ্ট্রকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন তেমনি বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে শেখ হাসিনা হবেন বাংলাদেশের মাহাথির মহম্মদ।’
২০ দলীয় জোট এবং খালেদা জিয়ার কারণে দেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাস আর জামায়াত-বিএনপির কাছে আমরা কখনোই মাথা নত করব না।’
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য কামরুন নাহার চৌধুরী লাভলী, বিআইডাব্লিটিএর চেয়ারম্যান কমোডর এম মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত সচিব ভোলা নাথ দে, রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল কবির, গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ বি এম নুরুল ইসলাম, দৌলতদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম মণ্ডল, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান মিয়া বক্তব্য দেন।