সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাছাই আর নয়
আগামী বছর থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ফলাফলের ভিত্তিতে সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্ধারণের টপ টেন বা টপ টোয়েন্টি পদ্ধতি থাকবে না। এমনকি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে উত্তর দেওয়ার অংশটুকু রাখা না রাখার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
urgentPhoto
আজ শনিবার ২০১৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। সেরা ১০ বা সেরা ২০ না রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘টপ ২০-তে থাকার জন্য দেশের সেরা ও নামিদামি স্কুলগুলোও অসৎ ও অনৈতিক পথ বেছে নেয়। পরীক্ষার্থীরাও অনৈতিকতার শিক্ষা পায়। এ জন্যই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিএএফ শাহীন স্কুলের নাম উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এই স্কুলটিও প্রশ্ন ফাঁস করে তাদের শিক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহ করেছে। আমরা এটা ধরতে পেরেছি। এ ছাড়া এমন কিছু স্কুল এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে যেগুলোতে আমাদের সন্তানদের ভর্তি করাতে আমরা অনেক চেষ্টা-তদবির করে থাকি। সেগুলো টপ টোয়েন্টির মধ্যেও টপে থাকে। এ কারণে আমরা এ পদ্ধতি উঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ পদ্ধতি দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভালো ফলাফল করতে একধরনের উৎসাহমূলক পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে। এ পদ্ধতি বাতিল করা মানে ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলার শামিল কি না এ বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। এই প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা চাই দেশের সব শিক্ষার্থীই ভালো ফলাফল করুক। এ জন্য এই পদ্ধতি উঠিয়ে দেওয়াটাই আমাদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে।’