স্কুল ছুটি দিয়ে প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা
বান্দরবানে প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বান্দরবান জেলা শাখা।
তবে স্কুল ছুটি দিয়ে এ সংবর্ধনা সভা আয়োজনের খবর পেয়ে খোদ প্রতিমন্ত্রীই যাননি সেখানে। উপরন্তু তিনি এ ঘটনার জন্য বান্দরবান জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আজম এবং পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লাকে নিজের বাসায় ডেকে পাঠান।
জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আজম এনটিভিকে জানান, প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বছরে তিনদিন (একসঙ্গে নয়) সংরক্ষিত ছুটি দিতে পারেন। সে কারণে বিদ্যালয় ছুটি নিয়ে সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। শুধু সদর উপজেলা সবগুলো প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রয়েছে। জেলার অন্যান্য স্কুলগুলো থেকে কয়েকজন করে শিক্ষক অনুষ্ঠানে এসেছেন বলে জানান প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি সীমা দাশ এনটিভি অনলাইনকে জানান, সরকার প্রধান শিক্ষকের পদ দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছেন। একই সঙ্গে সারা দেশের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছে। সরকারের যুগান্তকারী এই পদক্ষেপের কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে এ সংবর্ধনা সভার আয়োজন করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষকরা জানান, সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য সমিতির নেতারা প্রতিটি বিদ্যালয় থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা তুলেছেন। সংবর্ধনার জন্য জেলার ৩২৫টি সরকারি প্রাথমিক ও ১৮টি কমিউনিটি বিদ্যালয় থেকে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা তোলা হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির নেতারা জানান, প্রতিমন্ত্রী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ায় অনেকটা পণ্ড হয়ে যায় আয়োজন। শেষ পর্যন্ত বিশেষ অতিথি বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লাকে প্রধান অতিথি ঘোষণা দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুর রশীদ আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাজী মুজিবর রহমান, লক্ষ্মীপদ দাস, ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিউল আজমসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।