সুন্দরবনের ১২ জলদস্যুর আত্মসমর্পণ
সুন্দরবনের ১২ জলদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে পটুয়াখালীর কুয়াকাটার রাখাইন মার্কেট মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আত্মসমর্পণের আয়োজন করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
এ সময় র্যাবের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আহমেদ ও র্যাব ৮-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হলেন নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ মিয়া (৩৭), মনিরুল শেখ (৩৮), মানজুর মোল্লা ওরফে রাঙ্গা (৪২), মুক্ত শেখ (৩৭), তরিকুল শেখ (৬০), আকবর শেখ (৪২), কিবরিয়া মোড়ল (৪০), জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪৮), আল আমিন সিকদার (৫০), ইউনুচ শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর (৪০), মিলাদুল মোল্লা ওরফে কালু ডাকাত (২৮) ও মোশারফ হোসেন (৩৭)। তাদের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলা ও রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন র্যাব-৮ বরিশাল ক্যাম্পের অধিনায়ক মো. আনোয়ার উজ জামান। এ সময় জলদস্যুরা অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আত্মসমর্পণ করেন। জলদস্যুরা এ সময় সাতটি একনলা ও আটটি দোনলা বিদেশি বন্দুক, দুটি (২২ বোর) বিদেশি এয়ার রাইফেল, তিনটি ওয়ান শ্যুটার গান, একটি বিদেশি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, একটি (২২ বোর) বিদেশি রাইফেল ও তিনটি বিদেশি রাইফেলসহ ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়। এ ছাড়া এক হাজার ১০৫ রাউন্ড সক্রিয় গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে আজকে যেমন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমরা কাছাকাছি এসেছি, তেমনি আমরা সুন্দরবনের জলদস্যু নির্মূল করব। সে জন্য আমাদের পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ড কাজ চালিয়ে যাবে।’
র্যাবের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে জলদস্যুদের প্রধান বা সহকারী প্রধানসহ ৯০ জন দস্যু মারা গেছে। আমরা বিভিন্ন অপারেশনের মাধ্যমে ২০৮ জন জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে ৬৭৪টি অস্ত্র ও ১৯ হাজার ৫৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।’
এ সময় সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এর আগে আত্মসমর্পণ করা ৬০ জন জলদস্যুকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। যারা সবাই জামিনে রয়েছেন। এ ছাড়া কারাগারে থাকা আত্মসমর্পণ করা ১২ জন জলদস্যুর পরিবারের হাতে ২০ হাজার টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। তাদের সবাইকে শীতবস্ত্র কম্বলও দেওয়া হয়।