টোল আদায়ের প্রতিবাদে ঢাকা-মাওয়া রুটে বাস ধর্মঘট
ঢাকা-মাওয়া সড়কে আজ সকাল থেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে মাওয়া বাস মালিক সমিতি। শিমুলিয়া ঘাটে বাসপ্রতি ৪০ টাকা টোল আদায় করার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেন বাস মালিকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সম্প্রতি কার পাকিং ইয়ার্ড ইজারা দিয়ে এখন বাস মালিকদের কাছ থেকে টোল আদায় শুরু করেছে। এর প্রতিবাদে সকাল থেকে ঢাকা-মাওয়া রুটে চলাচলরত ১২টি বাসের মালিকরা একমত হয়ে এ ধর্মঘটের ডাক দেন। তবে দক্ষিণবঙ্গসহ দূরপাল্লার বাস এই ধর্মঘটের আওতামুক্ত রয়েছে।
মাওয়া বাস মালিক কল্যাণ সমিতির নেতা বুলেট মিয়া অভিযোগ করেন, ঢাকা-মাওয়া রুটে টোল আদায়ের কোনো নজির ছিল না। সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ অবৈধভাবে শিমুলিয়া পার্কিং ইয়ার্ড ইজারা দিয়ে বাস মালিকদের কাছ থেকে টোল আদায় শুরু করেছে। এর প্রতিবাদে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ টোল আদায় ইজারা বাতিল না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি। urgentPhoto
এ ব্যাপারে শিমুলিয়া পার্কিং ইয়ার্ডের ইজারাদার লুৎফর রহমান তালুকদার বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ ইজারা আহ্বান করলে দরপত্রের মাধ্যমে আমি ইজারাদার নির্বাচিত হই। এর পর থেকে সরকারের নির্ধারিত ৪০ টাকা হারে টোল আদায় শুরু করা হয়েছে। আগের ঘাটে বাস রাখার পর্যাপ্ত ইয়ার্ড ছিল না। মালিকরা ভাড়া করা জায়গায় বাস রাখত। বর্তমানে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শিমুলিয়ায় নতুন ঘাট নির্মাণ করা হয়েছে। বৈধভাবে আমি ইজারা পেয়েছি। আমি না পেলে অন্য কেউ পেলে টোল আদায় করত। সরকারের রাজস্ব আদায়ে একটি পক্ষ অযথা ঝামেলার চেষ্টা করছে।’
এদিকে, বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়াঘাট বন্দর কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, সরকারের সব নিয়ম-কানুন মেনেই এ ঘাটের ইজারা আহ্বান করে বিআইডব্লিউটিএ। এটি অবশ্যই বৈধ ইজারা। আগের ঘাটগুলোতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিতে না পারায় টোল আদায় করেনি বিআইডব্লিউটিএ।
এদিকে, ঘাট পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা উভয় পাশেই বিপাকে পড়েছেন। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। কেউ রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, বেবিট্যাক্সিতে বেশি ভাড়া দিয়ে করে যাতায়াত করছেন।