‘অপরাধে জড়াচ্ছে পুলিশের তথ্যদাতারা’
পুলিশের তথ্যদাতারাই মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। আর এদের হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
ময়মনসিংহে পুলিশের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় আজ সোমবার এ কথা বলেন পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর আতিয়া মনসুর।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা চত্বরে জনপ্রতিনিধিসহ অন্যান্য মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করে পুলিশ। ‘ওপেন হাউজ ডে’ শীর্ষক ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আহামেদ আল মামুন।
অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর আতিয়া মুনসুর বলেন, ‘পুলিশের তথ্যদাতারা এখন মাদক ব্যবসায়ী। নানা অপকর্ম করাসহ এলাকার নিরীহ মানুষকে পুলিশের সহায়তায় নানাভাবে হয়রানি করছে।’ তিনি তথ্যদাতার মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা বন্ধ করে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের দাবি জানান।
কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবীব বলেন, ‘শহরে ব্যাপকহারে মাদকের বিস্তার লাভ করেছে। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না।’
কাউন্সিলর খোদেজা আকতার একই দাবি করে মাদক ও ছিনতাই রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এ ছাড়া শহরের চরপাড়া, পলিটেকনিক মোড়সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভোরে ছিনতাই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এ দুই কাউন্সিলর।
ময়মনসিংহ শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অশিত রঞ্জন দত্ত অভিযোগ করেন, শহরের শিববাড়ীর ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের কাছ থেকে নরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণের মেয়ে শিল্পী (২৮) ১৪ মে থেকে নিখোঁজ। অশিত নিজে থানা পুলিশের কাছে ধরনা দিয়েছেন। তারপরও শিল্পীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া ছিনতাই বেড়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু আহামেদ আল মামুন দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম মো. ওয়ালিদ, কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা, সাধারণ সম্পাদক সাদিক হোসেন, পৌরসভার কাউন্সিলর, ইউপি চেয়ারম্যান প্রমুখ।