পিরোজপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, দুজনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা করার দায়ে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক এস এম জিল্লুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া দুজন হলেন ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের লাহুরী গ্রামের মো. জুয়েল সিকদার (৩০) ও একই গ্রামের হায়দার আলী শেখ (৪২)। আজ রায় ঘোষণার সময় হায়দার শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জুয়েল সিকদার পলাতক।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (নারী ও শিশু) আবদুর রাজ্জাক খান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ২০১০ সালের ৮ জুলাই সকালে জুয়েল সিকদার গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির (১১) এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় হায়দার আলী শেখ মুঠোফোনে ছবি তোলেন। বিষয়টি কাউকে জানালে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। মেয়েটিকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার কয়েকদিন পর জুয়েল ও হায়দার ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন। এরপর ২০১০ সালের ১ আগস্ট মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে জুয়েল সিকদারের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ জুয়েল সিকদারকে গ্রেপ্তার করলে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ জুয়েল সিকদার ও হায়দার আলী শেখের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
আবদুর রাজ্জাক খান জানান, মামলার শুনানির সময় জুয়েল সিকদার জামিনে মুক্তি পেয়ে পালিয়ে যান। অন্যদিকে হায়দার আলী শেখ আদালতে হাজিরা দিলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। আজ রায় ঘোষণার সময় শুধু আসামি হায়দার উপস্থিত ছিলেন।