ফেনীতে ১৫ আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ব্যক্তিদের পুলিশে হস্তান্তর
ফেনী সদর উপজেলার লালপুল থেকে ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৬ জনকে আজ রোববার বিকেলে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
র্যাব ফেনী ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো. ইব্রাহিম তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের সঙ্গে জব্দ করা অস্ত্রগুলো ফেনী থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। আজই তাঁদের আদালতে তোলার কথা পুলিশের। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে পুলিশের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
urgentPhoto
বিকেল সোয়া ৪টার দিকে র্যাবের কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্য দিয়ে দুটি মাইক্রোবাসে করে আসামিদের মহিপাল র্যাব ক্যাম্প থেকে ফেনী মডেল থানায় আনা হয়।
ফেনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোর্শেদ মামলাটি তদন্তের জন্য পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুজ্জামানকে দায়িত্ব দিয়েছেন। জব্দ করা অস্ত্রের মধ্যে মধ্যে রয়েছে পাঁচটি বিদেশি শাটারগান, একটি বিদেশি দোনলা বন্দুক, পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, চারটি এলজি, ১২০টি বন্দুকের গুলি, একটি বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, একটি গুলির পোসেস, ১৬টি রামদা, দুটি চায়নিজ কুড়াল ও তিনটি মাইক্রোবাস।
এর আগে গত শনিবার রাত পৌনে ১২টায় র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে র্যাব ফেনী ক্যাম্পের দল লালপুল এলাকায় চেকপোস্টে গাড়িতে তল্লাশি চালায়। এ সময় তিনটি গাড়িতে অস্ত্রসহ ২৪ জনকে আটক করা হয়। আটক ২৪ জনের সঙ্গে আরো দুজন মাইক্রোবাসের চালক রয়েছে। তল্লাশির সময় বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সোনাগাজীর যুবলীগ নেতা আজিজুল হককে গত ১ জুন হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে সোনাগাজী বাজারে প্রতিবাদ সভা শেষে ফেনী ফেরার পথে লালপুল এলাকায় র্যাব তাঁদের গাড়ি তল্লাশি করে নেতাকর্মীদের আটক করে। ঘটনাস্থলে তাঁরা র্যাবকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেখাতে চাইলেও র্যাব তা আমলে নেয়নি। এতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে র্যাব তাঁদের বৈধ অস্ত্রগুলো লাইসেন্স দেখে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিলে মহাসড়ক ও রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
এ ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ জানান, অবৈধ অস্ত্রধারীদের কাছ থেকে যেসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে যদি কারো বৈধ অস্ত্র থেকে থাকে, আইননুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।