বিউটিশিয়ান ববি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
নারী উদ্যোক্তা ও বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী শাহজাদি ফারজানা ওরফে ববি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মজিবর রহমান লিখনকে (২৮) ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়ার একটি আদালত। আজ সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
লিখন কুষ্টিয়া শহরের কমলাপুর এলাকার বাসিন্দা। একই সঙ্গে বিচারক অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার চার আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। এঁরা হলেন লিখনের স্ত্রী শারমিন আক্তার বৈশাখী, লিখনের বন্ধু হেলাল উদ্দিন হেলাল, রহুল আমিন রুবেল ও আতাই।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুরে বাড়িতে অবস্থিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান (পার্লারে) ঢুকে ফারজানাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় ফারজানা ওরফে ববির স্বামী মোল্লা শামস ওরফে তনু বাবু কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় লিখন ও তাঁর স্ত্রী বৈশাখীকে আসামি করা হয়।
পরে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে আরো তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী। তিনি আরো জানান, আদালত লিখনকে ফাঁসির আদেশ ছাড়াও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। নিহত ফারজানার দুই মেয়ে রোজ ও রুপন্তী জরিমানার টাকা পাবে।
রুপন্তী রায়ের প্রতিক্রিয়ায় জানায়, এ রায়ে তার পরিবার সন্তুষ্ট। অবিলম্বে লিখনের ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানায় সে।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আরো ছিলেন অ্যাডভোকেট শামস তানিম মুক্তি। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন আমিরুল ইসলাম।