বিএনপির সাবেক এমপি শহিদুলকে ৯ বছর সাজা
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শহিদুল আলম তালুকদারকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করে অর্থ পাওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনে করা মামলায় পটুয়াখালীর স্পেশাল ও দায়রা জজ আদালত আজ সোমবার দুপুরে এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় শহিদুল আলম তালুকদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বাউফল উপজেলা বিএনপির একাংশের সভাপতি।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৫ এপ্রিল পটুয়াখালী দুদকের উপপরিচালক লুৎফর রহমান বাউফলের সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদারকে আসামি করে মামলা করেন। মামলায় এক লাখ ২৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তথ্য এবং অবৈধভাবে ২৩ লক্ষাধিক টাকার সম্পদ অর্জন গোপন করার অভিযোগ আনা হয় আসামির বিরুদ্ধে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা শহিদুল আলম তালুকদারকে আসামি করে সংশ্লিষ্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আজ পটুয়াখালী স্পেশাল ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বাসু দেব রায় ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬-এর ২ ও ২৭ এর ১ ধারায় আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সাত বছর ও দুই বছর করে মোট ৯ বছর এবং এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া তাঁর সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর পরই আদালতে উপস্থিত শহিদুল আলম তালুকদারকে পুলিশ তড়িঘড়ি করে প্রিজন ভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যায়।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী নেছার উদ্দিন। মামলার রায়ের তথ্য তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন ও অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান টোটন।
মজিবর রহমান টোটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশে এই মামলা করা হয়েছে। আমরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’