আশুগঞ্জ নৌবন্দরের ধর্মঘট প্রত্যাহার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরের নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। নৌপথে ডাকাতি, চাঁদাবাজি বন্ধে নৌপুলিশের কম্বিং অপারেশন শুরু এবং কোনো নৌযান হয়রানির শিকার হবে না, প্রশাসনের এমন আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয় আশুগঞ্জের নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
গত ৫ জুন সন্ধ্যায় আশুগঞ্জে হাজি ইমান আলী নামের একটি জাহাজে ডাকাতির ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও মামলা না নিয়ে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।এর প্রতিবাদে এবং চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ ও নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে রোববার ভোর থেকে আশুগঞ্জ বন্দরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
ধর্মঘটের কারণে বন্দরের পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়লে গতকাল সোমবার আশুগঞ্জ কার্গো জাহাজ মালিক সমিতির কার্যালয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলীয় নৌপুলিশের পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান নৌযান শ্রমিক ও নৌযান মালিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিন ঘণ্টাব্যাপী সভা শেষে আজ সকাল থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন নৌযান শ্রমিকরা।
মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ নৌপুলিশের পুলিশ সুপার জাবেদুর রহমান, ভৈরব জোনের নৌপুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মধু সুধন রায়, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. শাহ আলম, পুর্বাঞ্চলীয় কার্গো জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হোসাইন হামদু, আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তারুন্নেসা শিউলি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আবু জাফর, ভৈরব থনার ভারপ্রারপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম, ভৈরব নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মালেক, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার মাষ্টার ও আশুগঞ্জ কার্গো জাহাজ মালিক সমিতর আহ্বায়ক মো.আলাল শাহসহ অন্যরা।